তারিখ: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ স্থান: শ্রম ভবন, ঢাকা আজ শ্রম ভবনে বিভিন্ন কৃষি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে শ্রম সংস্কার কমিশনের এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. জাকির হোসেন, সাকিল আখতার চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, তাসলিমা আখতারসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সভায় কৃষি শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিত সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সভাপতি বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম মিঠু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় বজলুর রশীদ ফিরোজ (সভাপতি, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট) বলেন, "সামগ্রিক কৃষি খাতের সংস্কার ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। কৃষি শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।" আশেক-ই-এলাহী (সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় কৃষক জোট) বলেন, "কৃষি, মৎস্য, হর্টিকালচার, লাইভস্টক ইত্যাদি খাতে কৃষি শ্রমিকদের স্বতন্ত্র সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা প্রদান করতে হবে এবং শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ করতে হবে।" আব্দুল আলিম (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি) বলেন, "ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে অনিয়ম দূর করে কৃষকদের জন্য সুদ মুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা দরকার।" সভায় বক্তারা গ্রামীণ কৃষকদের স্বীকৃতি এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানান এবং কৃষি শিপ্লের সাথে জড়িত শ্রমিকের রাসায়নিক সার ব্যবহারজনিত বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যধি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারী ভাবে চিকিৎসার সুব্যবস্থা, বজ্রপাতে প্রতি বছর কৃষক শ্রমিকের অমানবিক মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবী লিখিত আকারে পেশ করেন। সভায় কমিশন প্রধান জনাব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ সকলকে কৃতজ্ঞতা এবং আজকের আলোচনাকে অত্যন্ত কার্যকর বলে আখ্যায়িত করে বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি শ্রমিকের সাথে মতবিনিময় হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে এই প্রথম। সুপারিশ থাকবে শুধুই কৃষি শ্রমিকের নিয়ে এবং সামগ্রিক কৃষি খাত নিয়ে আলাদা কমিশনসহ ভূমি সংস্কার নিয়ে সুপারিশ থাকবে। প্রান্তিক পর্যায়ে শ্রমিকের মধ্যে বৈষম্য অনেক প্রকট। সম্মিলিত প্রয়াস এজন্য একটা সম্মিলিত চার্টার দরকার যাকে কেন্দ্র করে সম্মিলিত আলোড়ন গড়ে তুলতে হবে। অটোমেশনের প্রভাবে শ্রমিকের জীবনে কী ধরণের প্রভাব পড়ছে, কৃষি পণ্যের অবমূল্যন করে শিল্পের প্রভাব বিস্তার হচ্ছে, কৃষি জমিতে রিসোর্ট গড়ে উঠছে এই বিষয়ে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি যথাযথভাবে প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।