কাজের অধিকার • আউটসোর্সিং এবং সেলফ এমপ্লয়মেন্ট এই দুই ধরনের কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। • শিক্ষানবীশ অনেক সময় সেলফ এমপ্লয়মেন্ট-এর সুযোগ তৈরি করে। একইভাবে অভিবাসী শ্র্রমিক যারা স্কিলড হয়ে ফিরে আসেন তাদের কর্মসংস্থান ব্যাংকের সহায়তায় যদি কিছু একটা করার সুযোগ করে দেয়া যাতে তারা নিজেদের জন্য এবং অন্যদের জন্যও কাজের সুযোগ করে দিতে পারেন।
• মাধ্যিমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় Need based Education এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
• কাজের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার এবং শিক্ষার বাস্তবিক প্রয়োগকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এই রকম শিক্ষা ব্যবস্থা শুধুমাত্র দেশের ভেতরে না বিদেশে চাকুরির ব্যাপারেও ভুমিকা রাখবে।
• নতুন নতুন মেশিন গুলো শ্রমিকদের রিপ্লেস করে দিচ্ছে। কিন্তু স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভাগ থাকার পরও শ্রমিকদের রিপ্লেসমেন্ট এর প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এক্ষেত্রে একাডেমি, ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেড ইউনিয়ন, ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভাগকে একত্রিত না হলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্ভব নয়। মজুরী ও ন্যায্য হিস্যা
• নিম্নতম মজুরি আমাদের জীবন ধারনের জন্য ন্যূনতম হিসেবে ঠিক হয় না, সব সময় সেটা শ্রমিকদের জন্য কম হয়। এই ক্ষেত্রে আমাদের নিড অ্যাসেসমেন্ট করে মজুরি নির্ধারণ করতে হবে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি গুলোর পে (pay) করার ক্ষমতাও বিবেচনায় আনতে হবে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ
• আমাদের সকল শ্রমিক সম্পর্কিত সিস্টেমগুলোকে কার্যকর করতে হবে।
• কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক দায়ী হলে তার পর্যাপ্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সুরক্ষা ও কল্যাণ
• শ্রম আইন রিফর্ম নিয়ে কাজ করতে হবে। আইনগুলো অধিকারের ক্ষেত্রে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ এটি চিন্তা করতে হবে। মালিক-শ্রমিক-সরকার কিভাবে একত্রিতভাবে কাজ করতে পারে এই বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে মালিক ও সরকার একত্রিত হয়ে যায় ফলে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুন্ন হয়। তাদের শ্রমিক বান্ধব হতে হবে।
• সকল শ্রমিককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট করতে চাইলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আমাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
• সকল শ্রমিকদের (আনুষ্ঠানিক ও অনাননুষ্ঠানিক) সামাজিক সুরক্ষার আওতায় যতটুকু সম্ভব অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
• শ্রমিক অধিকার এবং শ্রমিক কল্যাণ এ দুইটি বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সংগঠনের অধিকার ও যৌথ দরকষাকষি
• শ্রমিকরা যাতে ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারে এটা নিশ্চিত করা। ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ করা এবং ইউনিয়ন যেন ঠিক মতো কাজ করতে পারে এটা নিশ্চিত করা।
• সম্মিলিত দরকষাকষি, ইউনিয়ন পরিধি, মজুরী নির্ধারণ এবং মজুরীর পরিধি কতটুকু হবে জাতীয়ভাবে হবে নাকি শিল্পভিত্তিক হবে, এই সকল বিষয়গুলো পরিষ্কার হতে হবে।
• আমাদের শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করার বর্তমান পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ এবং অকার্যকর হয়ে গেছে। এইগুলো পরিবর্তন করতে হবে।
• আইনের সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা এটা দেখতে হবে, আইন মানার দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। শ্রমিক সংগঠনে যারা থাকবে তাদের কাজ শুধু দাবি আদায় করা নয় বরং শিল্পের প্রতিও তাদের দায়বোধ থাকতে হবে। তাদের মধ্যে যদি দায়বোধ থাকে তাহলে সংগঠিত শ্রমিক শিল্পের জন্য সম্পদ হবে।
• ট্রেড ইউনিয়নের উপর রেসট্রিকশন কমানো এবং সেই সাথে ইউনিয়ন কর্মীদের মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি হতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন আইআরআই সংখ্যা বাড়ানো এবং যেগুলো আছে সেগুলোকে যথাযত কাজে লাগানো।
• আইআরআই এর ট্রেনিংয়ে ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের উপস্থিতি কম, দীর্ঘ ট্রেনিং (৫ সপ্তাহ) প্রোগ্রাম, শ্র্রম আইন পড়ানো হয় কিন্তু পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, যৌথ দরকষাকষি এই বিষয়গুলো পড়ানো হয় না কারণ ম্যান্ডেটে নাই, এবং দুর্বল অবকাঠামো রয়েছে। এই সকল বিষয়ে সংস্কার আবশ্যক। সমতা, বৈষম্যহীনতা, ও বিষেশজনগোষ্ঠী
• আউটসোর্সিং এর কারনে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সরকারী কাজে নিয়োগের সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছে। সেজন্য স্থায়ী পোস্টে আউটসোর্সিং না করার সুপারিশ করতে হবে।
• অভিবাসী শ্রমিকদের সার্বজনিন বীমার আওতায় আনার সুপারিশ করা।