শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকল্পে আইন ও নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন- শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়নে সুপারিশ করা;
সকল শ্রমিকের ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা, অসন্তোষ নিরসন, শিল্পবিরোধ নিষ্পত্তির বিদ্যমান প্রক্রিয়া যেমন- প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, সালিশ ও মধ্যস্থতা, এবং শ্রম আদালত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যপরিধি ও কার্যপ্রক্রিয়া পর্যালোচনা ও সুপারিশ তৈরি করা;
বিশ^ব্যাপী প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, উৎপাদন প্রক্রিয়া, কাজের ও নিয়োগের ধরন পরিবর্তন যেমন- চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, প্লাটফরম/গিগ ইকোনমি, জনমিতির বিন্যাস এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে বিদ্যমান কাজের নিরাপত্তা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠা, এবং শ্রমিকের বিশেষ করে শিক্ষাধীন, (এপ্রেন্টিস), আউটসোর্সিং, মাস্টাররোলভিত্তিক শ্রমিক, সেবা খাতের শিক্ষানবীশ ও যুবা কর্মীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি;
শ্রমিক ও তার পরিবারের মানবিক মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করা, মৌলিক চাহিদা পূরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- এসডিজি ও জাতীয় দারিদ্র বিমোচন লক্ষ্যমাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশু ও নারীর জীবনমান উন্নয়নে ঘোষিত নীতিমালা এবং ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিদ্যমান মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া, মানদÐ ও নি¤œতম মজুরি বোর্ডের গঠন ও কার্যপরিধি পর্যালোচনা ও সুপারিশ তৈরি;
সবার জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা উন্নয়নে বিদ্যমান আইন, নীতি, পরিদর্শন ব্যবস্থা, ক্ষতিপূরণের মানদÐ ও পরিশোধ প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কাঠামোসমূহ যেমন- জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য নিরাপত্তা কাউন্সিল, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সেইফটি কমিটি, এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমসহ অন্যান্য ব্যবস্থা পর্যালোচনা ও সুপারিশ তৈরি। এ লক্ষ্যে বিগত সময়ের উল্লেখযোগ্য শিল্প-দুর্ঘটনাসমূহ থেকে শিক্ষণীয় বিষয় চিহ্নিত করা;